হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। রাতে তীব্র পানির স্রোতে গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। লোকালয়ে হু হু করে ঢুকছে পানি। এতে দিশেহারা হয়ে ঘর-বাড়ি ফেলে প্রাণে বাঁচতে মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে ছুঁটছেন। অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নিলেও সেখানে থাকাও অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়ির নিচ তলা।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া এলাকার গোমতী বাঁধের একটি অংশে ধসে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, রাতে হঠাৎ করে ছোট একটি গর্ত দিয়ে গোমতী থেকে পানি ঢুকতে শুরু করে। এর কিছু পরই বাঁধের একটি অংশ ধসে পড়ে। পরে প্রবল স্রোতে পানি ঢুকতে থাকে লোকালয়ে। মুহূর্তেই বুড়িচং উপজেলার ষোলনল, পীরযাত্রাপুর, বুড়িচং সদর, বাকশিমুল ও রাজাপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম প্লবিত হয়। বাঁধ সংলগ্ন বাসিন্দাদের ঘরে জিনিসপত্র পানির স্রোতে ভেসে গেছে। চোখের সামনেই সব হারিয়ে বাকরুদ্ধ অনেকেই।
সালমা বেগম নামে কিশোরী জানান, মা-বাবাসহ গ্রামের অন্তত ২৫০ মানুষ শিকারপুর হাজী মার্কেট বুড়িচং ফাতেমা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু সেখানে পানিতে নিচতলা তলিয়ে গেছে। এখন সবাই দ্বিতীয় তলায় আটকা পড়েছে।
বুরবুড়িয়া এলাকার সিএনজি চালক ফরহাদ জাগো নিউজকে বলেন, অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। রাতে বুরবুড়িবাঁধ ভেঙে আচমকা প্রবল বেগে পানি ঢুকে পড়ায় ঘরের কিছুই বাঁচাতে পারি। এক কাপড়ে ঘর থেকে কোলের শিশুকে নিয়ে বের হয়েছি।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিদা আক্তার জানিয়েছেন, উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া অংশে রাতে বাঁধ উছলে পানি আসছিল। হঠাৎ করে রাতে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। যারা এখনও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেননি তাদের ঘর বাড়ি ছেড়ে নিরাপদে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।